দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা ২০২৫

EPS-এর আওতায় প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে কৃষি খাতে কয়েক হাজার লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। প্রতিবছর নিয়োগের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাই দক্ষিণ কোরিয়া যারা কৃষি খাতে যেতে চান তাদের অবশ্যই কৃষিকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাওয়াই ভালো। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজে কেমন বেতন, কত ঘন্টা কাজ করতে হয় আর কি রকম কষ্ট করতে হয় এবং  কোরিয়ার কৃষি কাজের সাথে বাংলাদেশের কাজের মিল অমিলের বিষয়গুলো।

কৃষি কাজের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়: EPS এর আওতায় বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি ভিসা সহ অন্যান্য ভিসা পাওয়া যায়।

মিল ও অমিলঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় ও বাংলাদেশের মতো প্রায় সব রকম শাকসবজি থেকে শুরু করে অনেক রকমের শস্য উৎপাদিত হয়। উৎপাদনের পদ্ধতি ও কিছুটা বাংলাদেশের মতই। তাই যারা বাংলাদেশে মোটামুটি কৃষি কাজ করে অভ্যস্ত তাদের দক্ষিণ কোরিয়া একটি চমৎকার গন্তব্য হতে পারে। এখানে কৃষি খাতে কিছু নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের কৃষির কোন মিল নেই। দক্ষিণ কোরিয়া শীত প্রধান দেশ। শীতের মৌসুমে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচন্ড শীত পড়ে। সেই সময় জমির চারদিকে বাঁশ গেরে উপরে পলিথিন দিয়ে কিছুটা গ্রীন হাউজের মতো বানিয়ে তার ভিতর ফসল চাষ করতে হয়।

কি কি ফসল উৎপাদন করতে হয়ঃ বাংলাদেশের মতো প্রায় সব রকমের ফসল দক্ষিন কোরিয়ায় উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে আলু, বেগুন, ফুলকপি,  বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ মিষ্টি , কুমড়া ইত্যাদি সহ প্রায় সকল রকমের সবজি উৎপাদিত হয়। এসব ফসল কিভাবে উৎপন্ন করতে হয় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে পরিচর্যা করতে হয় এ বিষয়ে যাদের ধারণা রয়েছে তাদের দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করতে কোন সমস্যা হবে না।

কাজ ও কাজের ধরনঃ দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য কাজের সেক্টরের তুলনায় কৃষি খাতের কাজ সবচেয়ে হালকা ও সহজ। এই সেক্টরে কোন ভারী কাজ করতে হয় না। এই খাতে জমি তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে সার দেয়া এবং ফসলের সমস্ত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয় যা প্রায় বাংলাদেশের মতই।

কৃষি খাতে কষ্ট কেমনঃ যেহেতু দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতের মৌসুমে প্রচন্ড শীত পড়ে এবং কৃষিকাজ মূলত বাইরে করতে হয় তাই কর্মীদের জন্য শীতের অভিজ্ঞতাটা খুবই খারাপ হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালে বরফ করে। তবে ঠান্ডার পরিমাণ যাই হোক না কেন সাধারণত কাজ কখনো বন্ধ থাকে না। যাদের ঠান্ডায় সমস্যা হয় তাদের এ সেক্টরে আবেদন না করাই ভালো।

বেতন ও ডিউটিঃ সাধারণত দক্ষিণ কোরিয়াতে বেসিক ডিউটি ৮ ঘন্টা হয়ে থাকে। তবে বেসিক ডিউটির বাইরেও অতিরিক্ত কর্ম ঘন্টা কাজ করার সুযোগ থাকে। অতিরিক্ত কাজ করার জন্য বেসিক বেতনের বাইরে অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা হিসেবে মজুরি প্রদান করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়া সমস্ত কাজের জন্য উচ্চ বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত কৃষি কাজের বেসিক বেতন হয়ে থাকে ১,৭০,০০০ (এক লক্ষ সত্তর হাজার) থেকে ১,৮০,০০০(এক  লক্ষ আশি হাজার ) টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ওভার টাইম ডিউটি করলে এই বেতনের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে।

কৃষি ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়: সরকারিভাবে EPS এর আওতায় কৃষিখাতে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। এটিই এ পর্যন্ত কোরিয়ায় কাজের ভিসায় যাওয়ার সবচেয়ে পরিচিত মাধ্যম। সাধারণ বেসরকারি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসায় যাওয়া যায় না।

Leave a Comment