বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

2025 সালে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া কাজের উদ্দেশ্যে বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে ই কাজের বিচার প্রকারভেদগুলো জেনে নিতে হবে। বুলগেরিয়াতে ইতোমধ্যে অনেক বাঙালি শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছে।

এই নিবন্ধটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে বুলগেরিয়া যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বুঝতে পারবেন। পাশাপাশি বুলগেরিয়া যেতে কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন, বুলগেরিয়ার বেতন কত এসব বিষয়ে সহ প্রয়োজনীয় সকল বিষয় জানতে পারবেন।

বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে একটি বুলগেরিয়ান কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পেতে হবে। এরপর কোম্পানিটি আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করবে এবং অনুমোদনের পর আপনি Type D ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া

কোম্পানি আবেদন করবে: আপনার নিয়োগকর্তা বুলগেরিয়ার শ্রম অফিসে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে।

ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন: অনুমোদনের পর কোম্পানি আপনাকে ওয়ার্ক পারমিটের কপি দেবে।

ভিসা আবেদন: ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর, আপনি বুলগেরিয়ার কনস্যুলেট বা দূতাবাসে Type D ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন- IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৫

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

ডকুমেন্টস জমা: সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করে জমা দিন।

ভিসা ফি: আবেদন ফি পরিশোধ করুন (সাধারণত €50 থেকে €100)।

প্রসেসিং সময়: ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত ২-৪ মাস সময় নেয়।

আরো পড়ুন- বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম ২০২৫

ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

জব অফার লেটার: কোম্পানি থেকে আনুষ্ঠানিক চাকরির অফার।

পাসপোর্ট: বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ আবেদন করার সময় কমপক্ষে ৬ মাস বাকি থাকতে হবে।

শিক্ষাগত সনদ: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ।

মেডিকেল রিপোর্ট: স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট:  আপনার নামে কোন মামলা নেই সেই মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রমাণের জন্য (যদি প্রয়োজন হয়)।

আরো পড়ুন- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় বিস্তারিত ২০২৫

বুলগেরিয়া বেতন কত ২০২৫

সাধারণত কাজ ও কাজের অভিজ্ঞতা ভেদে বেতনের ভিন্নতা দেখা যায়। নিচে বুলগারিয়ার বিভিন্ন কাজের বেতন উল্লেখ করা হলোঃ

সেক্টর

বেতন (ইউরো)

বেতন (টাকা) 

আইটি সেক্টর  ১,২০০ ইউরো থেকে ২,০০০ ইউরো  প্রায় ১,৫৫,০০০ থেকে ২,৬০,০০০ টাকা
মেডিকেল সেক্টর  ১,০০০ ইউরো থেকে ১,৫০০ ইউরো  প্রায় ১,৩০,০০০ থেকে ১,৯৫,০০০ টাকা
কৃষি সেক্টর ৫০০ ইউরো থেকে ৭০০ ইউরো প্রায় ৬৫,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট   ৬০০ ইউরো থেকে ১,০০০ ইউরো প্রায় ৭৮,০০০ থেকে ১,৩০,০০০ টাকা
কন্সট্রাকশন সেক্টর   ৬০০ ইউরো থেকে ৮০০ ইউরো প্রায় ৭৮,০০০ থেকে ১,০৫,০০০ টাকা

আরো পড়ুন-

বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা ২০২৫

বুলগেরিয়ায় গার্মেন্ট সেক্টরে প্রচুর শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রতিবছর অনেক শ্রমিক বুলগেরিয়ায় গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করতে যায়। এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি বুলগেরিয়ান গার্মেন্টস কোম্পানি থেকে চাকরির অফার পেতে হবে। 

দ্বিতীয়ত কোম্পানিটি আপনার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে স্থানীয় শ্রম বাজারে আপনার মতো যোগ্য প্রার্থী নেই। সবশেষে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর আপনি বুলগেরিয়ার কনস্যুলেট বা দূতাবাসে Type D ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন- সাইপ্রাসের বেতন কত, কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিতসহ জেনে নিন ২০২৫

বোয়েসেল বুলগেরিয়া নিয়োগ

বোয়েসেল (BOESL) বা অন্যান্য কোম্পানির মাধ্যমে বুলগেরিয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২৫ সালে শুরু হয়েছে। চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে বোয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত চেক করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে হবে।

বোয়েসেল বিভিন্ন পদে দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। চাকরির সুযোগগুলি সাধারণত পোশাক শিল্প, প্রযুক্তি, এবং অন্যান্য সেক্টরে হতে পারে। নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে আপনার সিভি এবং কভার লেটার প্রস্তুত করুন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • বৈধ পাসপোর্ট: আবেদন করার সময় কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
  • শিক্ষাগত সনদ: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ।
  • কর্মসংস্থান ইতিহাস: পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
  • মেডিকেল রিপোর্ট: স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: আপনার দেশের পুলিশ থেকে।

আরো পড়ুন- তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত ২০২৫

ভিসা প্রক্রিয়া

ওয়ার্ক পারমিট: বোয়েসেল কোম্পানি আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে।

ভিসা আবেদন: ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর বুলগেরিয়ার কনস্যুলেট বা দূতাবাসে Type D ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

এটাই সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরি সহ আরো আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর। যদি আপনি বোয়েসেলের মাধ্যমে যান তাহলে খুব কম খরচেই যেতে পারবেন। কিন্তু যদি অন্য কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে বুলগেরিয়া যান তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ পড়বে প্রায় ৮-১২ লক্ষ টাকার মত।

আরো পড়ুন- সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়, বেতন সহ সকল বিস্তারিত ২০২৫

মানুষ আরো জানতে জিজ্ঞেস করে (FAQ’S)-

 বুলগেরিয়া কি সেনজেনভুক্ত দেশ?

হ্যাঁ বুলগেরিয়া সেনজন ভুক্ত দেশ।

বুলগেরিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

সবকিছু ঠিক থাকলে বুলগেরিয়ার ভিসা পেতে ১৫ দিন সময় লাগে।

 

Leave a Comment