বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত খরচ পড়বে তা নির্ভর করবে আপনার ভেতর ক্যাটাগরির উপর, কোন এয়ারলাইন্সের বিমানে যাচ্ছেন তার উপর এবং সরকারিভাবে যাচ্ছেন নাকি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন এসব বিষয়ের উপর। সাধারণত বাংলাদেশী নাগরিকেরা ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই বেশি গিয়ে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশি নাগরিকেরা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে পারে। এ সকল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা সহ প্রায় সম্ভাব্য সকল ধরনের ভিসা। আর আপনার ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের সম্পূর্ণ খরচ নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরনের উপর।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যেতে কোন ভিসায় কত খরচ পরে।
ইন্দোনেশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার খরচ কত
ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা আকর্ষণ গুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:
ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে ৬০ দিনের টুরিস্ট ভিসা এবং ১৮০ দিনের টুরিস্ট ভিসা সবচেয়ে জনপ্রিয়। জেনে নিন ৬০ দিনের ও ১২০ দিনের টুরিস্ট ভিসার সকল তথ্যা।
৬০ দিনের টুরিস্ট ভিসা
এই প্যাকেজে ভিসা ফি, বিমানের টিকিট, এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। বছরের বিভিন্ন সময় যখন অফার থাকে তখন খরচ কিছুটা কম হলেও এমনিতে সাধারণত ৬০ দিনে টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই খরচের পরিমাণ উঠানামা করতে পারে।
১৮০ দিনের টুরিস্ট ভিসা
এই প্যাকেজে সাধারণত ভিসা, বিমানের টিকিট এবং কিছু ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং খরচও যুক্ত থাকে। আপনি যদি এই প্যাকেজ গ্রহণ করেন তাহলে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার ফ্যামিলি ভিসার খরচ কত
ইন্দোনেশিয়ায় ফ্যামিলি ভিসার খরচ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। ভিসার ধরন ও বিমানের টিকিট ভেদে এই খরচের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্যামিলি ভিসার খরচ প্রায় তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মত।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচঃ বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় খুব কম মানুষই ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসায় ইন্দোনেশিয়া যায়। তবে ইন্দোনেশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো খরচ পরে।
ইন্দোনেশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
যদি সঠিক উপায় এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা হয় তাহলে ভিসা পেতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে দুই এক দিন সময় বেশি ও লাগতে পারে।
কিন্তু যদি সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যেও ভিসা না পান সেক্ষেত্রে আপনার ভিসার আবেদন পুনরায় দেখে নিন কারণ আপনার দেয়া কোন তথ্য ভুল থাকতে পারে। আর যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ভিসা এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে পারেন।
কখন ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের উপযুক্ত সময়?
মে থেকে সেপ্টেম্বরঃ
ইন্দোনেশিয়ায় মে থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ে আবহাওয়া সুন্দর এবং শুষ্ক থাকে। এ সময়টিই হল ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সবচেয়ে সঠিক সময়। দ্বীপ ভ্রমণ এবং সমুদ্র সৈকতে বিশ্রামের জন্য আদর্শ সময় হলো মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস।
মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরঃ
এই সময়ে আবহাওয়া ভালো থাকে এবং ভিড় কম থাকে যা প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী উপভোগের জন্য উপযুক্ত।
অক্টোবর থেকে মার্চঃ
এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে। তবে এই সময়ে দর্শনীয় স্থানগুলিতে ভিড় কম থাকে এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও উৎসবগুলি উপভোগ করার সুযোগ থাকে।
মানুষ আরো জানতে চায়-
ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম কি?
ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম রুপিয়া।
বাংলাদেশের এক টাকা ইন্দোনেশিয়ার কত টাকা?
বাংলাদেশের এক টাকায় ১৩৩.৪৬ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া।
ইন্দোনেশিয়ার এক টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা?
ইন্দোনেশিয়ার ১ টাকায় বাংলাদেশের ০.০০৭৬ টাকা।
ইন্দোনেশিয়ায় নগদ অর্থ রাখা ভালো নাকি কার্ড রাখা ভালো?
ইন্দোনেশিয়ায় কার্ডের তুলনায় নগদ অর্থ রাখাই বেশি ভালো। কারণ বাজারে নগদ অর্থের প্রচলন বেশি।