ইউরোপ মহাদেশের প্রায় সকল দেশ অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর উন্নত ও সমৃদ্ধ। সেখানে জীবনযাত্রার উন্নতমানের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের অপার সুযোগ রয়েছে। কাজের কমতি না থাকায় প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় সকল প্রান্ত থেকে ইউএন এর অঞ্চলগুলো কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সহ বিভিন্ন বিষয় মানস প্রতিনিয়ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে এবং কেউ কেউ যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
তবে আপনারা যারা জানেন না কিভাবে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বা এজেন্সির মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়া যায় তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করুন এবং জেনে নিন ইউরোপ মহাদেশে যাওয়ার উপায়।
আরো পড়ুন- বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
ভিসার প্রকারভভেদ
ইউরোপে কয়েক প্রকারের ভিসা হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বহুল পরিচিত ভিসাগুলো হলো- স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন- পর্তুগালের সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৫
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ইউরোপ মহাদেশে যাওয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো গুছিয়ে নিন। দেশভেদে কাগজপত্র বৈচিত্রতা বাড়ে। তবে বেশিরভাগ ইউরোপের দেশ ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই নিচে দেয়া কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবেঃ
- পাসপোর্টঃ আপনার কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আবেদন ফরমঃ ভিসার জন্য আবেদন করা ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- ছবিঃ ৫ কপি পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি।
- ওয়ার্ক পারমিটঃ যদি আপনি কাজের ভিসায় যান তাহলে অনুমোদিত ওয়ার্ক পারমিট লাগবে।
- ভাষা দক্ষতাঃ যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যান তাহলে আপনার দেশ ভেদে আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা জানানোর জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
- মেডিকেল রিপোর্টঃ শারীরিকভাবে আপনি বিদেশে যাওয়ার জন্য ফিট কিনা তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ আপনার নামে কোন প্রকার আইনি ঝামেলা নেই এটি প্রমাণ করার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
এছাড়াও এম্বেসি বা এজেন্সি আপনাকে সকল কাগজপত্রের পরিষ্কার ধারণা দিয়ে দেবে।
আরো পড়ুন- IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৫
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া যায়। এজন্য অবশ্যই এম্বেসি ফেস করতে হয়। ইউরোপে প্রবেশের শর্তাবলী দেশভেদে আলাদা হতে পারে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া আলাদা। সরকারিভাবে ইউরোপ প্রবেশের ধাপগুলো নিচে দেয়া হলোঃ
- দেশ নির্বাচনঃ সর্বপ্রথম আপনি ইউরোপের যে দেশটিতে যেতে চান সেই দেশটি নির্বাচন করুন।
- ডকুমেন্ট সংগ্রহঃ আপনার কাঙ্খিত দেশে যেতে যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো একত্রিত করুন। (উপরে দেয়া আছে)
- এম্বাসিতে আবেদনঃ আপনার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি থাকলে সেগুলো নিয়ে এম্বাসিতে আবেদন করুন।
- ইন্টারভিউঃ ইউরোপের কিছু কিছু দেশে যাওয়ার আগে একটি ইন্টারভিউ দিতে হয়। তবে এটি সব দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। ইন্টারভিউ মূলত আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন- বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম ২০২৫
আপনার দেয়া সমস্ত তথ্য ঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে এবং আপনি যদি ইউরোপে আপনার কাঙ্খিত দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য সকল শর্ত পূরণ করে থাকেন তাহলে আপনাকে কাঙ্ক্ষিত দেশের ভিসা দেয়া হবে এবং আপনি উক্ত দেশে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুন- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় বিস্তারিত ২০২৫
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের ভিসা চালু আছে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের নিম্নোক্ত দেশগুলোতে যাওয়া যায় এবং ইউরোপের এই সকল দেশগুলোর ভিসা বর্তমানে চালু আছেঃ
- এস্তোনিয়া
- লিথুনিয়া
- জার্মানি
- ইতালি
- গ্রীস
- লাটভিয়া
- ফ্রান্স
- সুইজারল্যান্ড
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- ফিনল্যান্ড
- বুলগেরিয়া
- আলবেনিয়া
- ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি
আরো পড়ুন- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
FAQ’S
ইউরোপের সবচেয়ে সহজ ওয়ার্ক পারমিট কোন দেশে পাওয়া যায়?
বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে সহজ পারমিট পাওয়া যায় এস্তোনিয়ায়।
ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং এ কতদিন লাগে?
ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং এর সাধারণত এক মাস সময় লাগে। তবে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে দেয়া হলে এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।
3 thoughts on “বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম ২০২৫”