সেনজেন ভুক্ত ২৭ টি দেশের মধ্যে পর্তুগাল একটি। হাজার হাজার মানুষ বৈধ এবং অবৈধভাবে প্রতিবছর পর্তুগালে পাড়ি জমায় উন্নত জীবনযাপন ও অধিক অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। অবৈধ পন্থা অবলম্বন না করে বৈধ পথে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পর্তুগালের ভিসা নিয়ে যাওয়া। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, ট্রাভেল ভিসা এবং ফ্যামিলি ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করুন বৈধ উপায়ে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন। কিভাবে পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। আবেদন করার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকা।
কি কি কাগজপত্র প্রয়োজনঃ
পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনাকে বুঝতে হবে নূন্যতম কি কি যোগ্যতা বা কাগজপত্র থাকলে আপনি পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে নিচের কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবেঃ
- ভিসার আবেদন ফরম
- ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি রঙিন ছবি
- জব অফার লেটার
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেট (আইইএল টিএস স্কোর ৬+)
- ওয়ার্ক পারমিট
- মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
আরো জানতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেনঃ https://schengeninsuranceinfo.com/schengen-visa/#prepare-the-required-documents-for-schengen-visa
পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়মঃ
প্রথমেই আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পর্তুগালের কোন কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি পর্তুগালের কোম্পানিটি আপনার জব এপ্লিকেশন লেটারটি গ্রহণ করে থাকে তাহলে তারা আপনার ইন্টারভিউ নেবে এবং আপনি ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনাকে তারা একটি জব অফার লেটার প্রদান করবে। এটি নিয়ে আপনাকে পর্তুগালের দূতাবাসে গিয়ে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে অথবা VFS GLOBAL এর মাধ্যমেও অনলাইনে প্রয়োজনে কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন।
এরপর পর্তুগালের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এবং অনলাইনে আবেদনের ফরম সংগ্রহ করে পর্তুগালের দূতাবাসে তা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন দূতাবাস নেই। ভারতের দিল্লিতে পর্তুগালের দূতাবাস রয়েছে। তাই ভারতে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেয়ার আগে অবশ্যই এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
পর্তুগাল ওয়ার্কপারমিট ভিসার খরচ কতঃ
সেনজেন ভক্ত দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল যেতে খরচ তুলনামূলক একটু বেশিই হয়। তবে সরকারিভাবে যেতে পারলে খরচ অনেকটাই কম হয়। বেসরকারি মাধ্যমে সম্পূর্ণ খরচ নির্ভর করে দালাল বা এজেন্সির উপর। তাই খরচের একদম সঠিক হিসাব দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্তুগাল যেতে আনুমানিক সবার ১০ থেকে ১৬ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে।
পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগেঃ
পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আবেদন করার পর আবেদনকারী কে তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। যদি আবেদন করার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং হতে প্রায় ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগতে পারে। আবার কপাল ভালো হলে কারো কারো ভিসা প্রসেসিং খুব দ্রুতই হয়ে যায়।
মানুষ আরো জিজ্ঞাসা করে- FAQ’S
বাংলাদেশে কি পর্তুগালের দূতাবাস আছে?
না, বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন দূতাবাস নেই?
পর্তুগালে কি বৈধভাবে যাওয়া যায়?
হ্যাঁ, অবশ্যই পর্তুগালে বৈধভাবে যাওয়া যায়।
পর্তুগালকে কি সেনজেন ভুক্ত দেশ?
হ্যাঁ, পর্তুগাল সেনজেন ভুক্ত দেশ।