গ্রীস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী

উচ্চ বেতনের পাশাপাশি উন্নত মানের জীবন যাপনের জন্য গ্রিস প্রবাসী বাঙালিদের জন্য খুবই উপযুক্ত জায়গা। আগে গ্রিসের সরাসরি ভিসা হতো না। ভারতে গিয়ে গ্রিসের ভিসার জন্য আবেদন করতে হতো।

কিন্তু এখন বাংলাদেশ থেকেই গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করা যায়। তাই আবেদন প্রক্রিয়ার হয়রানি অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং খরচ পূর্বের তুলনায় কম হয়। যদি আপনি গ্রীস যেতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা।

আরো পড়ুন- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

কোন কোন উপায়ে গ্রিস যাওয়া যায়

সরকারি এবং বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যাওয়ার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি অন্যতম সেরা মাধ্যম। তবে গ্রীস যাওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিচে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গ্রীস যাওয়ার সকল ধাপ বর্ণনা করা হলো।

আরো পড়ুন- পর্তুগালের সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৫

আবেদনের উপায়

বাংলাদেশ থেকে গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদনের সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর মাধ্যম হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থিত গ্রিসের এম্বাসি থেকে আবেদন। তবে গ্রিসের ভিসার জন্য আবেদনের পূর্বে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানির নিয়োগ সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতে হবে। কোন কোম্পানি যদি আপনাকে নিতে চায় তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজতর হতে পারে।

আরো পড়ুন- সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়, বেতন সহ সকল বিস্তারিত ২০২৫

কিভাবে আবেদন করবেন

আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা নিকটস্থ কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে  https://visathing.com/bangladesh/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং Apply Now অপশন এ ক্লিক করে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। তাহলেই আপনি গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য নিজেই আবেদন করতে পারবেন।

যদি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় অথবা কি কি কাগজপত্র লাগবে কোথায় জমা দেবেন কখন আবেদন করবেন এসব যদি বুঝতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশে অবস্থিত গ্রিসের দূতাবাসের যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে সব প্রকার গাইডলাইন দিয়ে দেবে। এবং বাংলাদেশ এবছর থেকে গ্রিসে কতজন মানুষ যেতে পারবে সে সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন- তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত ২০২৫

গ্রিসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি লাগে?

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রায় সব ভিসার জন্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র রয়েছে। যেমনঃ সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদী একটি পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, আপনার ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, সিভি, আই এল টি এস স্কোর, জাতীয় পরিচয় পত্র, পূর্ববর্তী কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেই সনদ ইত্যাদি। আপনার ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তার পূর্ণ গাইডলাইন গ্রীস দূতাবাস থেকে নিয়ে নিন অথবা তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন।

আরো পড়ুন- সাইপ্রাসের বেতন কত, কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিতসহ জেনে নিন ২০২৫

গ্রিসে কোন কাজের চাহিদা বেশি

গ্রিসে কাজ করার অসহ্য সুযোগ রয়েছে। তাই গ্রিসের কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। এর মধ্যেও কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় একটু বেশি। যেমনঃ আইটি সেক্টরের বিভিন্ন কাজ ,হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ, কৃষি কাজ,খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ ,ইলেকট্রনিশিয়ান,কনস্ট্রাকশন এবং ড্রাইভিং। আপনি এর মধ্যে কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার গ্রীস যাত্রা সফল ও সুন্দর হবে।

আরো পড়ুন- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় বিস্তারিত ২০২৫

কত ঘন্টা কাজ করতে হয়

অন্যান্য দেশের মতোই গ্রিসেও প্রতিদিন সাধারণ ডিউটি ৮ ঘন্টা। সপ্তাহে পাঁচ দিন ডিউটি করা হয়। তবে কোম্পানির চাহিদা থাকলে অতিরিক্ত কর্ম ঘন্টা ও কাজ করা যায়।

আরো পড়ুন- বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম ২০২৫

গ্রিসের বেতন কত

গ্রিস একটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ। এ দেশে জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত পাশাপাশি মানুষের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি।তাই গ্রিসের কর্মীদেরও বেতন উচ্চপর্যায়ের। যদিও সব কাজের বেতন কাঠামো এক নয় তবুও সর্বনিম্ন বেতন ৭৮০ ইউরো। কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ থাকায় এই বেতন মাস শেষে অনেক টাকায় গিয়ে পৌঁছায়। গ্রিসের কর্মীরা সাধারণত কাজ ভেদে এক লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের ধরন ও দক্ষতার উপর।

আরো পড়ুন- IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৫

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে এ প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নেই। কেননা এটি নির্ভর করে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে গ্রিস যাচ্ছেন তার ওপর। যদি এম্বাসির মাধ্যমে রিস যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেকটাই কম হবে কিন্তু যদি কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে গ্রিস জান তাহলে আপনার খরচ ৮ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মধ্যে লাগবে। আর যদি এম্বাসের মাধ্যমে সরকারিভাবে যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ ৮ লক্ষ টাকার কম লাগবে। চার থেকে ছয় লক্ষ টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন।

আরো পড়ুন- বুলগেরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

কত দিনের মধ্যে গ্রিসের ভিসা পাওয়া যায়

গ্রিসের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে হয়ে থাকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসের ভিসা পাওয়ার জটিলতা খুব বেশি নয়। সাধারণত তিন কর্ম দিবসের মধ্যেই গ্রিসের ভিসার রেজাল্ট পাওয়া যায়। তবে যদি কোন কারনে একটু দেরী ও হয় তাহলেও 15 দিনের মধ্যেই ভিতরে রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।

২০২২ সালে গ্রীস সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকার একটি চুক্তি করেছে যার মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে 4000 কর্মী গ্রিসে যেতে পারবে। তবে চুক্তিটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। সামনে চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যাওয়ার পথ অনেকটাই সুগম হবে।

আরো পড়ুন- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

জেনে রাখা ভালো

গ্রীস নিয়ে বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক এজেন্সি কাজ করে থাকে। তাই এক্ষেত্রে খুব বুঝেশুনে কোন এজেন্সের দিকে পা বাড়াতে হবে। কারণ এখানে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। যদি কারো নিকট আত্মীয় গ্রেসে অবস্থান করে থাকে তাহলে তাদের কাছ থেকে ভিসা নেয়া সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।

অবশ্য সরকারি মাধ্যমে গেলে প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। গ্রীস সেনজেন ভুক্ত দেশতাই গ্রিস থেকে সেনজেনভুক্ত ১৭ টি দেশে ভ্রমণের জন্য কোন ভিসার প্রয়োজন হয় না।

Leave a Comment